কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ মহিপুর থানার সদর মহিপুর ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচনে তিন নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর ভোট পুনঃগননার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধী ইসমাইল হাওলাদারের পক্ষে বুধবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ভাই হাফেজ আ. মতিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ২০ অক্টোবর সুধীরপুর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিকেল সাড়ে চারটার সময় আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে আটক রাখে। তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আমাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে জেলে আটকে রাখার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া জোরকরে রেজাল্ট সিটে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। নিজেদের মতো ভোট গণনা করে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে মাত্র সাত ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়েছে।আমার ভাই ভ্যানগাড়ি মার্কার ইসমাইল হাওলাদার ৭০২ ভোট দেখানো হয়। বিজিতপ্রার্থীর ভোট সংখ্যা ৭০৯। এমনকি রেজাল্ট সিট পর্যন্ত দেয়া হয়নি। জনগণের ভোটে আমার ভাই জিতলেও প্রহসনের মাধ্যমে পরাজিত করা হয়েছে। তিনি পুনরায় ওই ওয়ার্ডের নির্বাচন কিংবা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান।’ তার ভাই প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী অসুস্থ থাকায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস রহমান জানান, ওই ভদ্রলোক যেসব অভিযোগ করেছেন তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যথাযথভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সঠিকভাবে এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা করা হয়েছে। আর সাজা দেয়ার হুমকির কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ওই লোক তাকে চিনেন কিনা তাও জানা নেই। গত ২০ অক্টোবর অবাধ নিরপেক্ষ শান্তিপুর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে মহিপুর ইউনিয়নের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইসমাইল হাওলাদার নির্বাচন ট্রাইবুনালে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তার ভাই হাফেজ আ. মতিন।
Leave a Reply